বিশেষ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আর তরিকুল ইসলামের স্থলে ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) শ্যামল মিয়াকে।
বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ এলাকায় শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিউর আখড়ার দুর্গা পূজার জন্য বানানো সবকটি প্রতিমা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
কিশোরগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ দত্ত প্রদীপ জানান,' মন্দিরের সেবায়েতরা রাত ৩টা পর্যন্ত সজাগ ছিল। পরে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে সবকটি প্রতিমা ভাঙচুর করে'।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।এদিকে, প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পেয়ে সকালে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পরে,জেলা কালেক্টরেট মিলনায়তনে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীসহ সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিল। সভায় হিন্দু ধর্মের নেতারা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। ঘটনার পর প্রশাসনিক সমস্যাজনিত কারণে সদর মডেল থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন মো. তরিকুল ইসলাম।
সিলেট ২৪ বংলা/এসিড.