বিশেষ প্রতিনিধি:
নারী অদম্য। এই বর্ণস্রোত এক দেবীর আত্মপরিচয়। তাঁর মধ্যে দিয়ে গোটা জগতের প্রকাশনা।
"অহং রুদ্রেভির্বসুভিশ্চরাম্যহম্
আদিত্যৈরুত বিশ্বদেবৈঃ ।
অহং মিত্রাবরুণোভা বিভর্ম্যহম্
ইন্দ্রাগ্নী অহমশ্বিনোভা ।।"-(১)
অর্থাৎ ‘আমি একাদশ রুদ্র,অষ্ট বসু,দ্বাদশ আদিত্য এবং বিশ্ব দেবতারূপে বিচরণ করছি। আমি মিত্র ও বরুণ উভয়কেই ধারণ করে রয়েছি। আমি ইন্দ্র,অগ্নি এবং অশ্বিনীকুমারদ্বয়কে ধারণ করে রয়েছি।’
এখানে ‘আমি’ কোনও নারীর আত্মগৌরব রচনা করে না। এই ‘আমি’ নয় কোনও শব্দতেজ বা আমিত্বের আস্ফালন। বরং এই আমি আদি থেকে আধুনিক পৃথিবীর সমগ্র সময়কালের বাস্তব। আমিকে দমন করে এত যুদ্ধ, রক্ত,বিদ্রোহ ও বিপ্লবের ধ্বংসপ্লাবন — সবটাই বৃথা। আমিকে নিয়েই বরং আমাদের প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকা। কী সুখ,কী ছায়া,কী বন্যায়।
দেবী শুধু তো নারী নন। জীবের বাইরে তথাকথিত জড়ত্বেও তাঁর প্রকাশ। তিনিই প্রকৃতি। হঠাৎ জল, হঠাৎ রোদে চারপাশ উত্তাল। হঠাৎ বন্যা,হঠাৎ ধস,খবরের কাগজের পাতা ভরাট করে এলেও আসেনি এক সভ্যতার মনে। মন কি অচেতন ? শুনেও সে কি শুনতে পায়নি সাবধানবাণী ? বড় খাদের ঠিক ধার দিয়ে তার পথচলা। যে কোনও মুহূর্তেই বুজতে হতে পারে চোখ । দেবীর অবমাননা শুধু নারীর অবমাননা নয়। বরং আরও ব্যাপক আকারে তা জন্মের বিবিধ উপকরণের অবমাননা। অবমাননা এই নিষ্পাপ আলো, হাওয়া ও জলের। যাদের অসুখ হলে সভ্যতার সংক্রমণ হয়। সংক্রমণ থেকে মৃত্যু হতে কয়েক মুহূর্তই যথেষ্ট!
আজ বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে কুলাউড়া পৌর শহরের ড. রজত কান্তি ভট্টাচার্য্যের বাসগৃহ প্রাঙ্গণে চৈতালীর পূজামণ্ডপে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এ মহালয়া উদযাপিত হয়।
পূজা কমিটির সভাপতি ডা. শিবনাথ ভট্টাচার্য জানান, কুলাউড়ার চৈতালী সংঘের উদ্যোগে এবার দ্বিতীয়বারের মতো এই মহালয়া উদযাপিত হলো। কুলাউড়ায় একমাত্র চৈতালী সংঘই মহালয়া উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে।
তিনি জানান,সূর্যোদয়ের পর সনাতন ধর্মাবলম্বী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শ্রীশ্রীচণ্ডীপাঠ ও শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুকিশোরদের সংগীত ও নৃত্যের মাধ্যমে দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চণ্ডীপাঠ ও আগমনী গান পরিবেশনের মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে শুরু হয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
বুধবার (০২ অক্টোবর) সকালে পৌর শহরের ড. রজত কান্তি ভট্টাচার্য্যের বাসগৃহ প্রাঙ্গণে চৈতালীর পূজামণ্ডপে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এ মহালয়া উদযাপিত হয়।
পূজা কমিটির সভাপতি ডা. শিবনাথ ভট্টাচার্য জানান, কুলাউড়ার চৈতালী সংঘের উদ্যোগে এবার দ্বিতীয়বারের মতো এই মহালয়া উদযাপিত হলো। কুলাউড়ায় একমাত্র চৈতালী সংঘই মহালয়া উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে।
তিনি জানান,সূর্যোদয়ের পর সনাতন ধর্মাবলম্বী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শ্রীশ্রীচণ্ডীপাঠ ও শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুকিশোরদের সংগীত ও নৃত্যের মাধ্যমে দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
সিলেট ২৪ বাংলা/এসডি.