অপর্ণা নন্দী:
মৃন্ময়ী প্রতিমা তুমি;
তাই তো ওরা ভাঙতে পারে,
চিন্ময়ীতে যখন থাক,
অসুর তখন পদতলে।
দূর্গা ভাঙে কে যে বলে,
দূর্গা কি গো ভাঙতে পারে,
কাঠামো কে গুড়া করে,
কেবল শুধু মায়ের নামে।
মায়ের চোখে জাতপাত কিসের,
ওরা অবুজ তাই তো বলে।
সংসারে তো মাতৃরুপে,
সব জাতে তো পূজা করে।
কিশোরী যে দুর্গা কত;
সমাজ হয় লাঞ্চিত,
সেই অসুরের পেটের দূর্গা;
অন্যতে হয় বঞ্চিত।
যৌবনেরি দূর্গা মায়ের;
শরীর যারা লুফে নেয়,
সেই অসুরের ঘরের দুর্গা;
নিজেকে দেয় উগ্রিয়ে।
বৃদ্ধ দুর্গা অসহায়ে..;
বেড়ায় ঘুরে সম্বলহীন,
সেই অসুরের দুর্গাও থাকে;
ভবঘুরে সম্মানহীন।
দুর্গা মায়ের মৃন্ময় মূর্তি..;
অসুররাই তো ভাঙতে চায়,
ভাঙা নিয়ে দাঙ্গা করা,
অসুর ঠিকই পস্তায়...।
দুর্গা সবার ঘরে বিরাজ;
কন্যা জায়া ভগ্নী মা,
আমরা মানব ভাগ যে করি,
সৃষ্টি কিন্তু ভাগ হয় না।
এক আকাশে চাঁদ সূর্য,
সবাই পাই আলো আঁধার।
বর্ন শুধু চারটি ফুল,
এক বৃন্তের সমাহার।
চতুর্বণের কেউ ছোট নয়,
একটি গ্রহেই আবাসস্থল;
যার যে ধর্ম পালন করুক,
মানবতা হোক উজ্জ্বল।
মৃন্ময়ীই ভাঙে চিন্ময়ী নয়।।
সিলেট ২৪ বাংলা/এসডি.