কুলাউড়ার এক ইউপি সদস্যের বাল্যবিয়ে SYLHET 24 SYLHET 24 BANGLA প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪ কুলাউড়া প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ১০নং হাজিপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান চৌধুরী হেলাল এক কিশোরীকে (১৫) পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন। বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সমগ্র উপজেলা জুড়ে জানাজানি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার সচেতন নাগরিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন,একজন ইউপি সদস্য যেখানে বাল্যবিয়ে ঠেকাবেন,সেখানে ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান চৌধুরী হেলাল নিজে অপরাধমূলক কাজ করেছেন। সদ্য বিয়ে করা ইমা বেগম হাজীপুর ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের রোকন উদ্দিন ভূঁইয়ার মেয়ে। ওই মেয়ে স্থানীয় কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে কিছুদিন পড়ালেখা করে। পরে আর স্কুলে যায়নি। ওই মেয়েকে নানাভাবে ফুঁসলিয়ে তার সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান চৌধুরী হেলাল। এরপর ওই ইউপি সদস্য তাকে নিয়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি বুঝে ইউপি সদস্য ওই মেয়ের বয়স বাড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন। এলাকাবাসীদের ভাষ্য অনুযায়ী,’প্রায় ২০-২২ বছর আগে মনিরুজ্জামান চৌধুরী হেলাল প্রথম বিয়ে করেন। তার স্ত্রী,দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে,দ্বিতীয় মেয়ে এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে। বড় ছেলে মৌলভীবাজারে একটি মাদ্রাসায় ও ছোট ছেলে স্থানীয় পাইকপাড়া হাফিজি মাদ্রাসায় পড়ে। স্থানীয়রা বলছেন,’একজন জনপ্রতিনিধি তার কর্তব্য পালন না করে বাল্যবিয়ে করে অপরাধ করেছেন। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। ইমা বেগম (১৫) এর আত্মীয় ওয়াহিদ আলী ও চাঁন মিয়া বলেন,’ মেয়েটি আমাকে সম্পর্কে নাতিন হয়। প্রায় ৩-৪ মাস ধরে আমার গ্রামের বাড়িতে রোকন উদ্দিন ভুঁইয়া তার দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছে। ইউপি সদস্য হেলাল আমার নাতিনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গত বৃহস্পতিবার কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে। বর্তমানে মেয়েটি মৌলভীবাজারে আছে’। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাল্যবিয়ে করা ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান চৌধুরী হেলালের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি। হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূর আহমদ বুলবুল চৌধুরী ইউপি সদস্যের এহেন কর্মকান্ডের ব্যাপারে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বলেন,’বাল্যবিয়ে করা দণ্ডনীয় অপরাধ। মেয়েটির বয়স কম হতে পারে। তবে ইউপি সদস্য হেলাল ১৮ বছর বয়স উল্লেখ করা একটি জন্মনিবন্ধন দেখিয়েছেন আমাকে। এমনকি কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে করার পর দুই পক্ষের লোকজন বিষয়টি সমাধানও করেছেন বলে জেনেছি’। কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মহিউদ্দিন বলেন,‘বিষয়টি শুনে খুবই অবাক হয়েছি। স্কুলে ভর্তির সময় জমা দেয়া বয়স প্রমাণের কাগজাদি ও বর্তমান জন্মনিবন্ধনটি সংগ্রহ করবো। পরবর্তীতে তদন্তক্রমে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। সিলেট ২৪ বাংলা/এসডি. SHARES অপরাধ বিষয়: