দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা দ্রুত আট দফা দাবি না মানলে;কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে সনাতনীরা SYLHET 24 SYLHET 24 BANGLA প্রকাশিত: ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২৪ বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট। দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাসভবন,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,মন্দির,উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা সহ সংখ্যালঘু নারীদের অপহরণ,নির্যাতন,ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং পূর্বঘোষিত আট দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) গণসমাবেশ বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পবিত্র শ্রীমদভগবদগীতা পাঠেী মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। সমাবেশে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের প্রতিনিধি প্রদীপ ক্রান্তি দে বলেন,‘আমাদের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে তা বন্ধের দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি,কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমাদের উদ্দেশ্য দেশকে অস্থিতিশীল করা নয়। আমরা কেবল অধিকারের জন্য এসেছি। আমরা এ দেশে নিরাপদে বাঁচতে চাই। সেই সঙ্গে অবিলম্বে আমাদের আট দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত প্রামাণিক বলেন, ‘যতদিন আমাদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হবে, অপরাধীদের শাস্তির আওতায় না আনা হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা ভয় নিয়ে থাকব। ’অ্যাডভোকেট সুশান্ত অধিকারী বলেন,‘সরকার পতনের পর থেকেই যেভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা,লুটপাট শুরু হয়েছে তাতে বোঝা যায় এ দেশের সংখ্যালঘুরা কতটা অনিরাপদ! অনতিবিলম্বে বৈষম্য নিরসন করে আট দফার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ দেখতে চাই।’ অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সনাতনী অধিকার আন্দোলনের প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার বলেন,‘পূর্বঘোষিত আট দফা দাবি না মানলে এবং দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না করলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’ সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আট দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো;- (১) সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল’ গঠন। (২) ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা; (৩) সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন; সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন। (৪) সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত ও বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা। (৫) দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ। (৬) সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ। (৭) প্রতিটি হোস্টেলের প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ ও সংস্কৃত পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন। (৮) দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান প্রধান ধর্মীয় উৎসবের প্রয়োজনীয় ছুটি প্রদান। সিলেট ২৪ বাংলা/এসডি. SHARES জাতীয় বিষয়: