Hamas: হামাসের নেতাকর্মীদের কাতার ছাড়তে নোটিশ সিলেট ২৪ বাংলা সিলেট ২৪ বাংলা প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৪ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ৯ ই নভেম্বর শনিবার, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন হতে জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যে বিপদে পড়েছে “হামাস”। কাতার ত্যাগের নোটিশ দেয়া হয়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। সিএনএন আরও জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাতার হতে হামাসকে তাড়িয়ে দিতে সম্মত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই হামাসের শীর্ষ নেতারা কাতারের রাজধানী দোহাতে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু, দীর্ঘদিনের চেষ্টার পরও হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির কোন সমাধান না পাওয়ায়, এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটি। সূত্র হতে জানা গেছে, বাইডেন শাসনের শীর্ষ অগ্রাধিকার ছিল এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করা। ফলে দু-সপ্তাহ আগে কাতারকে রাজধানী হতে হামাসের নেতাদের আশ্রয় দেয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মার্কিন নেতাদের এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে কাতার এবং প্রায় সপ্তাহখানেক আগে বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে। সিএনএনকে এক সিনিয়র কর্মকর্তা আরো বলেন, হামাসের মত একটি সন্ত্রাসী গোষ্টী যারা আমেরিকানদের মেরেছে, এবং আমেরিকানদের জিম্মি করে রেখেছে, এছাড়াও জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখান করেছে তাদের নেতাদের কোন আমেরিকান অংশীদারের রাজধানীতে স্বাগত জানানো উচিৎ নয়। অন্যদিকে, কাতার থেকে হামাসের নেতাদের বের করে দেওয়ার বিষয়ে কাতারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন, হামাসের তিনজন নেতা। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিতকরণের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের এখনও জবাব দেননি। গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির জন্য কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশর এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও কোন ফলাফল জানা যায়নি। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে দোহা আলোচনার সর্বশেষ রাউন্ডেও হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক বছর ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। তাই প্রতিদিন প্রায় ১০০ টি লরি ব্যবহার করতে হবে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমেছে। এই ধ্বংসস্তূপগুলো একত্রে জড়ো করা হলে, তা মিশরের প্রায় ১১ টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে বলে ধারণা করা হয়। এই বিশাল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে প্রায় ৫০০-৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব মতে, গাজায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ২৯৭ টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭ টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এছাড়া, এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বিশাল ধ্বংসস্তূপ সরাতে প্রায় ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে। সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: ইজরায়েলইসরায়েলকাতারগাজাফিলিস্তিনহামাস