Lasuban GiriKhat: লাসুবন গিরিখাত SYLHET 24 SYLHET 24 BANGLA প্রকাশিত: ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৪ সত্যজিৎ দাস: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাসুবন গিরিখাত হল একটি প্রাচীন গিরিখাত। যার অবস্থান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী সিন্দুরখান ইউনিয়নের ঘন জঙ্গলবেষ্ঠিত পাহাড়ি এলাকায়। খাসি ভাষায় লাসুবন শব্দের অর্থ হলো পাহাড়ি ফুল বা জংলি ফুল। লাসুবন গিরিখাত অফিসিয়াল নাম হলেও শ্রীমঙ্গল গিরিখাত নামেই স্থানীয়দের কাছে বহুল পরিচিত। ছোট-বড় অনেকগুলো পাথুরে ছড়া বা ঝিরি রয়েছে এই গিরিখাতে। তবে এই এলাকায় বড় তিনটি গিরিখাতের সন্ধান পাওয়ায় এটি পর্যটকদের নজরে আসে। স্থানীয় খাসি ভাষায় ক্রেম ক্লু, ক্রেম কেরি ও ক্রেম উল্কা নামে প্রচলিত যা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। লাসুবন গিরিখাত গুলোর কোনটা এক কিলোমিটার, আবার কোনটা এর চেয়ে কম। নিচে নামলে হঠাৎ যদি উপর থেকে পানি নামে তাহলে উপরে ওঠার কোন পথ থাকে না বলে এই গিরিখাতগুলোতে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কিছু কিছু জায়গা আবার খাড়া পাথরের দেয়াল। যেখানে খুব সহজে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয় নাহার খাসিয়া পুঞ্জির অভ্যন্তরে গিরিখাত এলাকাটির অবস্থান। লাংগুলিয়া ছড়া নামের একটি পাহাড়ি ছড়া ধরে পুরো এলাকাটি ঘুরে আসা যায়। যেটি ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ছড়াটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মিশেছে শ্রীমঙ্গলের বিলাস ছড়ায়। সর্পিল বাঁক নিয়ে চলা ছড়ার সাথে মিশেছে আরও প্রায় শ’খানেক ছোট-বড় পাথুরে ছড়া। এর মধ্যে কয়েকটি গিরিখাত রয়েছে। পাহাড় থেকে ৫০০ মিটার নিচে এসব গিরিখাত কোথাও আকারে চ্যাপ্টা আবার কোথাও সরু। ফলে একেবারে নিচের বা ভেতরের অংশে সূর্যের আলো পৌঁছানোর সুযোগ নেই। স্থানীয়রা এটিকে উল্কা বলে ডাকেন। তবে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবাহ বেশি থাকে পাহাড়ের বুক বেয়ে নেমে আসা এসব ছোট ঝিরিগুলোতে। সিলেট ২৪ বাংলা/এসডি. SHARES আলোচিত সংবাদ বিষয়: