Bangladeshi Hindu:বর্তমান সরকারের শাসনে হিন্দুদের চরম দূর্গতি!

প্রকাশিত: ১০:৫৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
রাজনীতিঃ

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের আমলে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

 ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকার পতনের পর মাত্র তিন দিনে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ২০৫টি আক্রমণের ঘটনা ঘটে, যাতে ৫ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়। ইউনূস সরকারের প্রথম ১০০ দিনে দেশের অন্তত ২২টি স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বর্তমানে অশান্তির গ্রাসে রয়েছে, যেখানে তিন মাসের বেশি সময় ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার চলছে। বাড়িঘর, দোকান এবং ধর্মীয় স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে কট্টরপন্থীদের দ্বারা, এবং তরুণদের টার্গেট করে মারধর করা হচ্ছে। এর পর, সেই হিন্দুদের নির্বিচারে গ্রেফতার করছে পুলিশ।

নৈরাজ্য়ের আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। ৩ মাসের বেশি সময় ধরে অত্য়াচার চালানো হচ্ছে, হিন্দুদের ওপর। ঘর-বাড়ি-দোকান এবং ধর্মীয় স্থানগুলিকে নিশানা করছে কট্টরপন্থীরা। টার্গেট করে মারধর করা হচ্ছে তরুণদের। তারপর সেই হিন্দুদেরই আবার নির্বিচারে টেনে হিঁচড়ে গ্রেফতার করছে পুলিশ।

বাংলাদেশে বর্তমানে নৈরাজ্যের পরিস্থিতি চলছে, যেখানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বৃদ্ধি পেয়ে তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলেছে। কট্টরপন্থীরা ঘরবাড়ি, দোকান এবং ধর্মীয় স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে, পাশাপাশি তরুণদের টার্গেট করে মারধর করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে, পুলিশের হাতে ওই হিন্দুদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

২০০৬ সালে মহম্মদ ইউনূস নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অশান্তির আগুন ফুঁসে উঠেছে। ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর প্রথম ১০০ দিনে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কীভাবে দুর্দিন নেমে এসেছে, সে সম্পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পর, ৮ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন মহম্মদ ইউনূস। ঐক্য পরিষদ নামে একটি সংগনের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, ৫ আগস্ট থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে মাত্র ১৫ দিনে ২,১০টি ঘটনার অবতারণা হয়। এর ফলে ৯ জন হিন্দুর মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও, সরকারের পতনের পর মাত্র ৩ দিনের মধ্যে হিন্দুদের ওপর ২০৫টি আক্রমণের ঘটনা ঘটে, যাতে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

গত আগস্ট মাসে সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে দুর্গাপুজো উপলক্ষে হিন্দুরা বিভিন্ন স্থানে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।  ইউনূস সরকারের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে অন্তত ২২টি স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক আর্ট অ্যাকাডেমিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং শিল্প প্রদর্শনীও নিষিদ্ধ করা হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সংখ্যালঘু নির্যাতনের সমস্ত তথ্য জমা দিয়েছে ইউনূস সরকারের কাছে। তবে এতে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার কমে যাওয়ার বদলে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ এবং ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্ট।

অবশ্য, এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে থাকা সত্ত্বেও মহম্মদ ইউনূস দাবি করেন যে ‘কিছু ক্ষেত্রে হিন্দুরা হিংসার সম্মুখীন হয়েছেন এবং এ নিয়ে যে কিছু প্রচার হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত। হিংসার ছোট ঘটনা মূলত রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল।’

একসময় পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু আজ সেই বাংলাদেশেই হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন এবং নৈরাজ্যের আগুন আবারও জ্বলছে।

সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি