গত আগস্ট মাসে সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে দুর্গাপুজো উপলক্ষে হিন্দুরা বিভিন্ন স্থানে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। ইউনূস সরকারের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে অন্তত ২২টি স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক আর্ট অ্যাকাডেমিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং শিল্প প্রদর্শনীও নিষিদ্ধ করা হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সংখ্যালঘু নির্যাতনের সমস্ত তথ্য জমা দিয়েছে ইউনূস সরকারের কাছে। তবে এতে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার কমে যাওয়ার বদলে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ এবং ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্ট।
অবশ্য, এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে থাকা সত্ত্বেও মহম্মদ ইউনূস দাবি করেন যে ‘কিছু ক্ষেত্রে হিন্দুরা হিংসার সম্মুখীন হয়েছেন এবং এ নিয়ে যে কিছু প্রচার হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত। হিংসার ছোট ঘটনা মূলত রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল।’
একসময় পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু আজ সেই বাংলাদেশেই হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন এবং নৈরাজ্যের আগুন আবারও জ্বলছে।
সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি