খেলাধুলা ডেস্কঃ
এ সপ্তাহেও আইসিসি তাদের র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে, যা ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে প্রতি বুধবার ঘটছে, যদিমাত্র কোনো বড় টুর্নামেন্ট চলমান নেই। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতো সাকিব আল হাসানেরও র্যাঙ্কিংয়ে একটানা ধারাবাহিকতা ছিল। বরাবর, আলাদাভাবে ব্যাটিং বা বোলিংয়ে যেমনই হোক, সপ্তাহ শেষে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের নামই শীর্ষে থাকত। বছরব্যাপী ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর স্থানটি যেন সাকিবের জন্য নির্ধারিত ছিল।
কিন্তু এখন সেই সান্নিধ্য অতীত। অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে বলা যায়, বর্তমানে আইসিসির ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের নাম নেই। তিনি গত অক্টোবর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে খেলে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। যদিও পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে সেটা হয়নি, টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে তাঁর নাম এখনও রয়েছে। কিন্তু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডার হিসেবে দীর্ঘদিন সেরা থাকার পরও সাকিব বর্তমানে সেই তালিকায় অপ্রতিষ্ঠিত।
আইসিসি র্যাঙ্কিং থেকে একজন খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়ার অন্যতম কারণ হল কোনো ধরনের শাস্তি বা নিষেধাজ্ঞা। যেমন, ২০১৯ সালে জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। ফলে ওই সময় তিনি র্যাঙ্কিং থেকে বাদ পড়েছিলেন। তবে নিষেধাজ্ঞা ছাড়া অন্য কোনো কারণে সাকিবকে কখনোই র্যাঙ্কিং থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। বরং, তিনি ২০১৯ সালের এই ঘটনার আগে এবং পরেও বহুবার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত তিনি একাধিকবার বছরের শেষে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৭ সালের পর ২০২২ এবং ২০২৩ সালে এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থানটি অর্জন করেছেন সাকিব আল হাসান। এই সময়ের মধ্যে, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি—তিনটি ফরম্যাটে শীর্ষ অলরাউন্ডার হওয়ার অনন্য রেকর্ড গড়েন।
সাকিব এখন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত, যিনি রান ও উইকেটের বিচারে অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। তবে, বর্তমানে তিনি শুধু টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান করছেন। সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে ভারত বিপক্ষে কানপুরে অনুষ্ঠিত টেস্ট ম্যাচে তার অংশগ্রহণ ছিল। সেই টেস্টের পর বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে ভারতের সঙ্গে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের মাটিতে একটি টেস্ট সিরিজে অংশ নিয়েছে। সর্বশেষ, এই মাসেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ওয়ানডে সিরিজও অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে সাকিব ছিলেন না। সুতরাং, প্রশ্ন হলো: টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে না থাকলেও, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের অনুপস্থিতির কারণ কী?