Bitcoin:বিটকয়েনের দাম আকাশচুম্বী

প্রকাশিত: ১০:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
বিটকয়েনের দাম আকাশচুম্বী
বাণিজ্যঃ

বিটকয়েনের দাম আবারো নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম অবিরাম বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে বিটকয়েন এক লাখ ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতে পারে।

কেন এত বাড়ছে বিটকয়েনের দাম?

  • ট্রাম্পের ক্রিপ্টো-বান্ধব নীতি:  ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি গ্রহণের প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীরা বিটকয়েন কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন।
  • ক্রিপ্টো-বান্ধব রাজনীতিবিদদের আগমন:  নভেম্বরের নির্বাচনে কয়েকজন ক্রিপ্টোকারেন্সি সমর্থক রাজনীতিবিদ কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়েছেন, যা বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ বাড়িয়েছে।
  • ইটিএফ-এর অনুমোদন:  জানুয়ারিতে বিটকয়েনভিত্তিক ইটিএফ লেনদেনের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে, যা বাজারে আরও বেশি তরলতা এনেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এতে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির চাহিদা আরও বাড়বে। ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার অত্যন্ত অস্থির। বিটকয়েনের দাম যেকোনো সময় উঠানামা করতে পারে। তাই বিনিয়োগের আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

১৬ বছর আগে জন্ম নেওয়া বিটকয়েন আজকে মূলধারার অর্থনীতিতে তার অবস্থান দৃঢ় করছে। বিশেষ করে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। ট্রাম্পের ক্রিপ্টো-বান্ধব নীতি এবং বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি বিটকয়েনের দাম বাড়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এএমপি সিডনির মুখ্য অর্থনীতিবিদ শেন অলিভারের মতে, বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। তিনি বলেন, “যত দিন এটি টিকে থাকছে, ততই এটি গুরুত্ব পাচ্ছে। এটি যে কারও অনুমানের বিষয়। তবে এটির একটি গতি আছে এবং এই মুহূর্তে তা বাড়ছে।”

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর নজরদারি কমবে এবং এটির বাজার আরও বৃদ্ধি পাবে। তারা বিশ্বাস করেন যে, বিটকয়েনের একটি জাতীয় মজুত গড়ে তোলার ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি এই আশাবাদকে আরও জোরদার করেছে।

ট্রাম্পের ক্রিপ্টো-বান্ধব নীতি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সমর্থক রাজনীতিবিদদের কংগ্রেসে নির্বাচিত হওয়ার ফলে বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার অত্যন্ত অস্থির। তাই বিনিয়োগের আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) চেয়ারম্যান গ্যারি গেনসলার জানিয়েছেন, তিনি শীঘ্রই পদত্যাগ করবেন। তার কার্যকালে এসইসি ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। বিশেষ করে, কয়েনবেজ, ক্রাকেন, বাইন্যান্সসহ বেশ কয়েকটি বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। এসইসির অভিযোগ ছিল, এই এক্সচেঞ্জগুলো নিজেদের নিবন্ধন করেনি, যা আইনবিরোধী।

তবে গেনসলারের কঠোর নীতির মধ্যেই বিটকয়েন বাজারে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। গত বছর মার্কিন পুঁজিবাজারে বিটকয়েনভিত্তিক তহবিল বা ইটিএফ লেনদেনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি বিটকয়েন বাজারে ব্যাপক উত্সাহের সৃষ্টি করে। এসইসি যদিও এই অনুমোদন দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল, তবুও বিনিয়োগকারীদের চাপে এবং বাজারের চাহিদার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিল।

গেনসলারের বিদায়ের পর এসইসির ক্রিপ্টো নীতি কেমন হবে, তা নিয়ে বাজারে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিটকয়েন বাজার ইতিমধ্যেই এতটাই বড় হয়ে গেছে যে, এসইসির নতুন চেয়ারম্যানকে এই বাজারকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না।

সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি