Dengue: সিলেট বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সিলেট ২৪ বাংলা সিলেট ২৪ বাংলা প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২৪ সিলেটে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সিলেট প্রতিনিধিঃ আগে ডেঙ্গু থেকে তুলনামূলক নিরাপদ থাকা সিলেটে এবার রোগটির প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে সিলেটের বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই নতুন করে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। বিশেষ করে হবিগঞ্জ জেলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। এই সময় এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় এবং ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা। যেখানে পানি জমে, সেখানেই এডিস মশা ডিম পাড়ে। তাই ঘরের আশপাশে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহে বিভাগে ৬০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ১৪ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শুধু গত ২৪ ঘন্টায়ই বিভাগে ৪ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সর্বাধিক ৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন। সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১ জন, সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ১ জন, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৩ জন, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন ও হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। বছরের শুরু থেকে (১ জানুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর) পর্যন্ত সিলেট বিভাগে মোট ২২৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিলেট জেলায় ৫৬ জন, সুনামগঞ্জে ২৮ জন, মৌলভীবাজারে ১৫ জন ও হবিগঞ্জে ১২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বস্তির খবর হলো, এ বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সিলেট মহানগরীতে মশার উপদ্রব ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। দিনের বেলায়ও মশার কামড়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। মশারি টানিয়ে, কয়েল জ্বালিয়ে বা অ্যারোসল স্প্রে করেও মশা থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে, এই সমস্যা সমাধানে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না। সিসিক সূত্রে জানা গেছে, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে তারা মশক নিধন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম সিলেটভিউকে জানিয়েছেন যে, বিভিন্ন সঙ্কটের কারণে প্রায় এক বছর ধরে মশক নিধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে সিসিক মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করবে। সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি SHARES আলোচিত সংবাদ বিষয়: জেলা নিউজজেলা সংবাদডেঙ্গুডেঙ্গু রোগীসিলেট নিউজসিলেট সংবাদসিলেটে ডেঙ্গু পরিস্থিতি