কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
লালন শাহের ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে চলা তিন দিনব্যাপী সাধুসঙ্গ গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে। কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে অনুষ্ঠিত এই সাধুসঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগী অংশগ্রহণ করেন।
শুক্রবার বিকেলে পূর্ণসেবার মধ্য দিয়ে সাধুসঙ্গের আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত হলেও আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণে বাউল মেলা শনিবার পর্যন্ত চলবে।
প্রবীণ সাধক নহির শাহ বলেন, "সাধুসঙ্গ মানে বিভিন্ন মতের মানুষ একত্র হয়ে একমতে চলা।" তিনি আরও বলেন, "সাধু-গুরুরা একই সুর, একই তালে সাধুসঙ্গে অংশ নেন।"
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা আবুল কালাম বলেন, "বছরে দুইবার এই আখড়াবাড়ির সাধুসঙ্গে আসার সুযোগ হয়। এখানে আসলে অনেক নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়।"
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, "লালনের চেতনা অসাম্প্রদায়িক। এই চেতনা না থাকলে বাংলাদেশ থাকে না।"
উল্লেখ্য, লালন একাডেমির আয়োজনে এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি.