Mistery behind Kawsar’s Death: চট্টগ্রামের শহীদ “কাউসারের” মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য সিলেট ২৪ বাংলা সিলেট ২৪ বাংলা প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: গত ৪ ই আগস্ট চট্টগ্রামের “বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটিতে” অধ্যায়নরত ছাত্র কাউসার মাহমুদ নিউমার্কেট মোড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু, স্থানীয় একাধিক সূত্র মতে, কাউসার গত ৪ ই আগস্ট নিউমার্কেট এলাকাতেই ছিলেন না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ দিন থাকার পর তার বাবা চিকিৎসকদের জানান, ৪ ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কাউসার শারীরিকভাবে আঘাত পেয়েছিলেন। কিন্তু, চিকিৎসকরা জানান শরীরে আঘাতের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। স্থানীয় সূত্রগুলোর মতে, আন্দোলনেরও ৬ মাস আগে থেকে কিডনির চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ৬ আগস্ট কাউসার মাহমুদের সম্পূর্ণ পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের ইমপ্রেশনে উল্লেখ করা হয়, তার ক্রনিক রেনাল প্যারেনকাইমাল ডিজিজ (স্টেজ-৩)। অর্থাৎ তার দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ তখন সর্বশেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ২১ আগস্ট তার পরিবার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসকদের জানান, ৪ আগস্ট কাউসার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শারীরিকভাবে আহত হয়েছিলেন। ৫ আগস্ট সকাল ১১টায় কাউসারের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে আগ্রাবাদ এলাকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু, এরপরও তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটলে কাউসারকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউসার মাহমুদ মারা যান। কাউসারের মৃত্যুর পর কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, কাউসার পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। আবার কোথাও বলা হয়, প্রচণ্ড মারধরের ফলে তার মৃত্যু ঘটে। কিন্তু, ১৪ অক্টোবর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির পাঠানো বিজ্ঞপ্তি মতে জানানো হয়, কাউসার পুলিশের গুলিতে আহত হন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) কাউসারের ভগ্নিপতি বিল্লাল হোসেনও কাউসারের গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানান। কিন্তু তার দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। কাউসারের ছোট ভাই সুলতান মো. নাইমের মতে, ‘আমার ভাই গত ৪ আগস্ট নিউমার্কেট এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন কর্তৃক মারধরের শিকার হয়। সন্ধ্যার দিকে খারাপ লাগছে বলে বাসায় অজ্ঞান হয়ে যায়। ১৭ দিন পর জ্ঞান ফিরলে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। মারধরের ফলে তার দুটো কিডনি অকেজো হয়ে যায়। এ ছাড়া অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়।’ ১৫ই অক্টোবর সংবাদমাধ্যমের কাছে কাউসারের বাবা দাবি করেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কাউসারের কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। এর আগে কাউসারের কোনো অসুখ ছিল না। আইসিইউতে থেকে বের হয়ে ১৭ দিনের মাথায় ছেলে আমাকে বলে সে আন্দোলনে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছে। ভয়ে আমাদের বলেনি।’ কিন্তু, আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট কিংবা তার আগে ও পরে কাউসার চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট বা আশেপাশের এলাকায় গিয়েছেন কিনা— তার কোন প্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি করানোর আগ পর্যন্ত অন্তত কয়েকদিন কাউসার তার বাসাতেই ছিলেন। কাউসারের পরিবার চট্টগ্রাম নগরীর মোগলটুলী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। কাউসারের কিডনিজনিত অসুস্থতার বিষয়টি এলাকায় প্রায় সবাই আগে থেকে জানে। তার এক প্রতিবেশী জানায়, কাউসার প্রায় ছয় মাস ধরে কিডনি রোগের চিকিৎসা নিচ্ছিল। মাসখানেক আগে স্থানীয় মসজিদে কাউসারের বাবা ছেলের জন্য দোয়াও চেয়েছিলেন। এমন অসুস্থ ছেলের পক্ষে আন্দোলনে অংশ নেওয়া সম্ভব ছিল না। কাউসার এমইএস কলেজে ছাত্রলীগের ওয়াসিম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা ছাড়াও দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের বহু ছবিও রয়েছে তার ফেসবুকে। কাউসারের বাবা আবদুল মোতালেবও পাঠানটুলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ২১ আগস্ট প্রথমবারের মতো কাউসার ও তার পরিবার চিকিৎসকদের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কাউসার ‘শারীরিকভাবে আঘাত’ হওয়ার কথা জানান। অর্থোপেডিক সার্জন হোসাইন আহমেদ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘৫ আগস্ট কাউসার মাহমুদকে ভর্তি করানোর পর তার বাবা বা পরিবারের কেউ তিনি যে কোনো হামলায় আহত বা অন্য কোনোভাবে আঘাত পেয়েছেন এমন কোনো কথাই জানাননি। তাছাড়া তার শরীরের কোথাও আমরা আঘাত পাওয়ার কোনো চিহ্নও দেখতে পাইনি।’ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ভর্তির প্রায় ১৬ দিন পর এসে তারা জানান, কাউসার মাহমুদ নামের ওই রোগী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের হামলায় আহত হন। পরে আমরা আমাদের রেফারেল নোটে সেটা উল্লেখও করেছি পরিবারের বরাত দিয়েই।’ ৫ আগস্ট কাউসারকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করানোর আগে প্রথম যখন জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তার খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। গায়ে ছিল জ্বর। পরিবারের লোকজন তার ডায়রিয়া হচ্ছিল বলেও জানান চিকিৎসককে। ওই সময়ের তাৎক্ষণিক পরীক্ষায়ও তার শরীরে আঘাতের কোনো লক্ষণ ছিল না। খিঁচুনি ও তীব্র শ্বাসকষ্ট থাকায় জরুরি বিভাগ থেকে তাকে পাঠানো হয় আইসিউতে। পরে কাউসারের ‘এমআরআই’ পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায়ও আঘাতের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। কাউসারের শরীরে ৫ আগস্টে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে তার বাবা আবদুল মোতালেব যে দাবি করেছিলেন সেটিও পরবর্তীতে মিথ্যা বলে জানান ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে কাউসারের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক চিকিৎসক। তাদের মতে, শারীরিক আঘাত কিংবা মাসল ব্রেকডাউনের কোনো লক্ষণ তার মধ্যে ছিল না। ভর্তির পর প্রথম ১৬ দিন তার পরিবারের কাছ থেকেও এমন কোনো তথ্য তারা পাননি। তবে প্রচণ্ড পিটুনিতে ‘মাসল ব্রেকডাউন’ হয়ে কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যদিও ‘এমন পরিস্থিতিতেও আঘাতের লক্ষণ শরীরে থাকবেই’_এমনটা জানিয়েছেন কাউসারের মেডিকেল-বোর্ডে থাকা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুল কাদের। তিনি আরও বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের রেফারেল নোটে উল্লেখ করা হয়, ‘২২ বছর বয়সী মো. কাউসার মাহমুদকে ৫.৮.২০২৪ তারিখে সকাল ১১:০০ টায় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর অভিযোগ ছিল, ৮ থেকে ১০ দিন ধরে মৃদু জ্বর, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১০১°F, ৮-১০ দিন ধরে পাতলা পায়খানা এবং ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ধরে পায়ের দুর্বলতা। রোগীর বাবা জানিয়েছেন, রোগীর ৬ মাস ধরে ক্ষুধামন্দা ও ওজন কমে যাওয়ার ঘটনা এবং কয়েকদিন ধরে পিঠে ব্যথা ছিল। রোগী পিঠের ব্যথার চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং ওষুধ খাচ্ছিলেন। ইনটেনসিভিস্ট, নেফ্রোলজিস্ট, ইন্টার্নিস্ট এবং নিউরোলজিস্টের পরামর্শে রোগীকে ইউরেমিক এনসেফালোপ্যাথি, একিউট কিডনি ইনজুরিসহ (একেআই), ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (সিকেডি) এবং ক্রিটিকাল কেয়ার নিউরোপ্যাথিসহ চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে।’ স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন, অন্তত আরও ছয় মাস আগে থেকে তিনি কিডনির চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন। ৫ আগস্ট ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তির পর ৭ আগস্ট কাউসারের বন্ধু, সহপাঠী ও স্বজনরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাহায্য চেয়ে যেসব পোস্ট করেছেন, তাতেও কাউসারের কিডনিজনিত অসুস্থতার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। ৬ আগস্ট কাউসার মাহমুদের সম্পূর্ণ পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের ইমপ্রেশনে উল্লেখ করা হয়, তার ক্রনিক রেনাল প্যারেনকাইমাল ডিজিজ (স্টেজ-৩)। অর্থাৎ তার দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ তখন সর্বশেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ওই সময় কার্যত তার দুটি কিডনিই কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। চিকিৎসকরা বলছেন, রেনাল রোগের শুরু হওয়ার পর রোগী কখন স্টেজ-৩-এ পৌঁছাবে তার কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে কিডনি বিশেষজ্ঞদের মতে, রেনাল প্যারেনকাইমাল ডিজিজ বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ (সিকেডি) প্রথম পর্যায় থেকে স্টেজ-৩ পর্যন্ত পৌঁছাতে গড়ে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে, তবে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে এটি দ্রুত হতে পারে। কিন্তু দুই বা তিনদিনের ব্যবধানে এমন হওয়া প্রায় অসম্ভব। হাসপাতালের ভর্তির দিন ৫ আগস্ট কাউসারের বায়োকেমিস্ট্রি রিপোর্টে দেখা গেছে, তার ইউরিয়া সেরামের মাত্রা ২৫৫, যার স্বাভাবিক মাত্রা সর্বোচ্চ ৫০। ক্রিয়েটিনিন-সেরামের মাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৭৪, যার স্বাভাবিক মাত্রা সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৩০। চিকিৎসা-পরিভাষায় এই ধরনের উচ্চমাত্রা কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার সংকেত দেয়। গত ১৭ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন সরকারি হাসপাতালে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানসহ যাবতীয় ব্যয় বহন করবে সরকার। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা বিল গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনে এসব বেসরকারি হাসপতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার সকল বিল সরকার বহন করবে মর্মে জানানো হয়। এর তিন দিন পর ২১ আগস্ট প্রথমবারের মতো কাউসার ও তার পরিবার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসকদের জানান, হাসপাতালে ভর্তির আগে ৪ আগস্ট কাউসার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ‘শারীরিকভাবে আঘাত’ পেয়েছিলেন। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক ও কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের মনে হয়েছে সরকারি ঘোষণা আসার পর পুরো বিষয়টিই পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে মূলত চিকিৎসাসুবিধা পাওয়ার জন্য। হয়তো খারাপ উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। পাঠানটুলী এলাকায় কাউসারদের প্রতিবেশীদের কেউ কেউ বলেছেন, চিকিৎসা সহায়তা পাওয়ার জন্য গুরুতর অসুস্থ ছেলেটাকে হয়তো তার বাবা প্রভাবিত করে থাকতে পারেন। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, পাঠানটুলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাও ‘মানবিক কারণে’ কাউসারের বাবাকে আন্দোলনে আঘাত পাওয়ার বিষয়টি সামনে আনার পরামর্শ দেন। সেলিম মাহমুদ নামের ওই নেতা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ পেতেও সহায়তা করেছিলেন কাউসারের বাবাকে। তবে পরবর্তীতে সবকিছু দেখেশুনে তিনিও বিস্মিত। সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘ছেলেটাকে জান্নাত নসিব করুক দোয়া করি, কিন্তু বাবা হয়ে যেভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে। আহারে নাটক। যদি তার সত্যটা উদঘাটন করে প্রকাশ হয় আল্লাহ ভালো জানেন কী অবস্থা হবে? ডিজিএফআইয়ের তদন্তকারী মাঠে আছে। আমার সাথে কথা হয়েছে আজ থেকে দশদিন আগে। আমিও কিছু মিথ্যা বলছিলাম, কারণ এই ছেলেটার যাতে ভালো একটা চিকিৎসা হয়। কিন্তু সে যে এই নাটক করবে কল্পনাও করি নাই। তবে আশা করি সত্য প্রকাশ হবে ইনশাআল্লাহ।’ সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি. SHARES আলোচিত সংবাদ বিষয়: