সিলেটের বালাগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে বাবা-ছেলেসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সিলেট জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বালাগঞ্জ উপজেলার হাসামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মবশ্বিরের ছেলে আব্দুস সবুর পুতুল, তার ছেলে ফাহাদ আহমদ রাহী ও আব্দুল মোমিন রনি। রায়ে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে আব্দুস সবুর পুতুল বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তবে তার দুই ছেলে ফাহাদ আহমদ রাহী ও আব্দুল মোমিন রনি পলাতক রয়েছেন।
এর আগে, সিলেটের বালাগঞ্জে ২০১৮ সালে হাসান মিয়াকে হত্যার দায়ে বাবা-ছেলেসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। হাসান হাসামপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হোসাইন আহমদ সাহান বালাগঞ্জ থানায় চারজনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, হাসামপুর বায়তুন নুর জামে মসজিদে তারাবির নামাজের পর মুসল্লিদের মধ্যে লিচুর জুস সরবরাহ করতেন হাসান মিয়া। জুসের মূল্য পরিশোধ করতেন মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ফারুক মিয়া। হত্যাকাণ্ডের রাতে ফারুক মিয়া লিচুর জুসের মূল্য বাবদ টাকা হাসানের কাছে পাঠান। কিছুক্ষণ পর আসামি রাহী টাকা ফেরত নিতে আসেন। টাকা ফেরত নিতে ফারুক মিয়াকে ফোন করতে বললে রাহি গালিগালাজ করেন। রাহীর পক্ষ নিয়ে অন্য আসামিরাও হাসানকে মারধর করে। একপর্যায়ে রাহি তার হাতে থাকা ছোরা দিয়ে হাসানকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত হাসানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি