ফ্রান্সের মার্সে মিউজিয়াম অফ ইউরোপিয়ান অ্যান্ড মেডিটেরানিয়ান সিভিলাইজেশন আয়োজন করছে একটি অভূতপূর্ব প্রদর্শনী, যেখানে প্রকৃতির সৃষ্টির সৌন্দর্যকে বিখ্যাত শিল্পীদের নান্দনিক দৃষ্টিতে তুলে ধরা হবে। এই প্রদর্শনীতে ৬০০-এরও বেশি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে, যা ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরে।
এই প্রদর্শনীর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, দর্শকদেরকে নগ্ন হয়ে শিল্পকর্ম উপভোগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই অভিনব পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল, শিল্পকর্ম এবং দর্শকের মধ্যে আরও গভীর ও আত্মিক সংযোগ স্থাপন করা। ফ্রান্সে নগ্নতা প্রায়ই প্রতিবাদের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, এবং এই প্রদর্শনীতে নগ্নতা শিল্প ও স্বাধীনতার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কিন্তু কেন দর্শকদের নগ্ন হয়ে আসতে বলা হচ্ছে? এর পেছনে একটি গভীর দার্শনিক চিন্তা লুকিয়ে আছে।
পৃথিবীতে আসার সময় মানুষের শরীরে কোনো কাপড় ছিল না এবং মৃত্যুর পরেও কিছু নিয়ে যাওয়া যায় না। তবুও আমরা জীবনে সুন্দর কাপড় চাই, নামি ব্র্যান্ডের পোশাক পরতে চাই। কিন্তু অনেকে আছেন যারা মনে করেন মানুষের শরীরই সবচেয়ে সুন্দর কলাকৃতি এবং এটাকে কাপড়ে ঢাকা উচিত নয়। তারা মনে করেন নগ্নতা খুবই স্বাভাবিক এবং যৌনতার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এই ধারণাকেই ন্যাচুরিজম বলা হয়।
ফ্রান্সে ন্যাচুরিজমের ধারণা অনেক বেশি জনপ্রিয়। ফ্রান্সের মানুষ প্রকৃতিতে নগ্ন হয়ে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। তারা মনে করেন প্রকৃতির মাঝে নগ্ন হওয়া মানুষকে শান্তি দেয় এবং তাদের মনকে পরিষ্কার করে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ চান দর্শকরাও এই অনুভূতি অনুভব করুক।
সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি