চীনের দুর্বল চাহিদা এবং মার্কিন ফেডেরেল রিজার্ভের উদ্বেগের কারণে শুক্রবার বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ২% এর বেশি কমেছে। চীনের তেলের চাহিদা কমে যাওয়া এবং মার্কিন ফেডেরেল রিজার্ভের সুদের হার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের কারণেই এই দাম কমেছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১.৫২ ডলার কমে ৭১.০৪ ডলারে নেমে এসেছে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরে চীনের তেল শোধনাগারগুলো গত এক বছরের তুলনায় ৪.৬% কম তেল প্রক্রিয়া করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশ হিসেবে চীনের এই দুর্বল চাহিদা বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমার একটি প্রধান কারণ।
মার্কিন ফেডেরেল রিজার্ভের সুদের হার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে উদ্বেগ রয়েছে, তাও তেলের দাম কমার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। সুদের হার বাড়লে সাধারণত অর্থনীতি ধীরগতিশীল হয় এবং এর ফলে তেলের চাহিদা কমে যায়।
গত এক সপ্তাহে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। বিশেষ করে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১.৬৮ ডলার কমে ৬৭.০২ ডলারে নেমে এসেছে, যা ২.৪৫% হ্রাস। একই সময়ে, ব্রেন্ট ক্রুডের দামও প্রায় চার শতাংশ কমেছে।
এই দাম কমার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চীনের তেলের চাহিদা কমে যাওয়া উল্লেখ করা যায়। গত অক্টোবরে চীনের তেল শোধনাগারগুলো এক বছর আগের তুলনায় ৪.৬% কম তেল প্রক্রিয়া করেছে। এর কারণ হিসেবে শোধনাগারগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ছোট স্বাধীন শোধনাগারগুলোর কার্যক্রম কমে যাওয়া উল্লেখ করা যায়।
চীনের অর্থনীতির মন্দা এবং বিশেষ করে দেশটির রিয়েল এস্টেট খাতের সমস্যাও তেলের চাহিদা কমার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। চীনের কারখানার উৎপাদন গত মাসে অনেক কমে গেছে, যা তেলের চাহিদাকে আরও কমিয়েছে।
সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি