সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে র্যাব-৯ সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেফতার হওয়া ব্যাক্তিরা হলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদ হোসেন ইমু এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রুপম আহমদ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে এমদাদ হোসেন ইমু, যিনি সিলেট জেলার এয়ারপোর্ট থানার আম্বরখানা এলাকার শুভেচ্ছা ১১ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আইয়ুন মিয়ার পুত্র, সিলেট মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ০৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে, রূপম আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার আব্দুস ছাত্তারের পুত্র, সিলেট মহানগর যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং ১৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১, সিপিএসসি, সিলেট এর একটি অভিযান দল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে দুইজন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
র্যাব-১, সিপিএসসি এবং সিলেটের যৌথ একটি অভিযান দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সিলেট কোতয়ালী থানার এফআইআর নং- ১৯/৪১৮ (তারিখ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) এবং এফআইআর নং-৩৪/৩৮৯ (তারিখ: ২৮ আগস্ট ২০২৪) মামলার আসামি। উভয় মামলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনসহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিলেট র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া অফিসার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল জানিয়েছেন, শুক্রবার গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে সিলেট কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য পলাতকদের গ্রেফতারের জন্য র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃতদের সিলেট কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি