ভারত সরকার বর্তমানে প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে চীন থেকে আসা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। সীমান্ত সংঘাতের পর থেকে দিল্লি প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও কঠোর নীতিমালা গ্রহণ করেছে। এর মূল কারণ হল, ভারত সরকার চায় না দেশের অভ্যন্তরে কোনো বিদেশি শক্তি, বিশেষ করে চীন, তাদের প্রভাব বিস্তার করুক। তারা আশঙ্কা করে যে, চীনা কোম্পানিগুলো ভারতে বিনিয়োগের আড়ালে গোপনভাবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে পারে বা অন্যান্য সামরিক কার্যকলাপ চালাতে পারে।
ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের অর্থনীতিতে কিছু ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একদিকে, এটি দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে সাহায্য করেছে। অন্যদিকে, বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
ভারত চীন থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করে। কিন্তু ভারতীয় পণ্য চীনে তেমন এক্সপোর্ট হয় না। ফলে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। চীনা কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ায় ভারতীয় বাজারে অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলোর দখল বেড়েছে। তবে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন বাজার খুঁজে বের করা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটানোর চ্যালেঞ্জ বেড়েছে।
ভবিষ্যতে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে বিনিয়োগের পরিস্থিতিও পরিবর্তন হতে পারে। তবে ভারত সরকার নিজস্ব স্বার্থে সতর্ক থাকবে।
সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি